- অ্যাডমিট কার্ড
- Copyright Policy
- স্ট্যাটিক জিকে
- প্রাইমারি টেট
- জেনারেল নলেজ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী | Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী.
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী PDF | Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali PDF
আজকের পোস্টে বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী নিয়ে আলোচনা করলাম। যেটিতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ব্যক্তি জীবন, শিক্ষা জীবন, কর্ম জীবন, সাহিত্যচর্চা, পুরস্কার ও সম্মাননা ইত্যাদি সমস্ত কিছু সুন্দরভাবে দেওয়া আছে।
জীবনে আজ যতটুকু শিক্ষা হইলো সারা, আমি নিরুত্তর হয়ে ভাবি, তুমি না থাকিলে সেটুকুও হত কিনা সারা …!!
কি ভাবছেন, কাকে স্বরণ করছি ? তিনি হলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ তথা বাংলা ভাষার জনক ও বাঙালি জীবনের স্মারক সিংহশিশু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও যিনি দেখিয়েছেন কর্ম-নিষ্ঠা ও আত্মবিশ্বাসকে পাথেয় করে কিভাবে ব্যক্তিত্বশীল পুরুষ হয়ে ওঠা যায়। তিনিই শিখিয়েছেন সমাজকে রক্ষা করতে ও বাঙালি জাতিকে স্বমহিমায় বিরাজ করতে।
ব্যক্তি জীবন
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ‘দয়ার সাগর’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির বীরসিংহ গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন (বীরসিংহ গ্রামটি তৎকালীন সময়ে হুগলী জেলার অন্তর্গত হলেও তা অধুনা ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত)। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পেশায় কলকাতায় স্বল্প বেতনের চাকুরীজিবী ও মাতা ভগবতী দেবী ছিলেন গৃহপত্নী। এ কারণেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শৈশব জীবন তার মা ও ঠাকুরমা শ্রীমতী দূর্গাদেবীর সঙ্গেই অতিবাহিত হয়। ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পঠনরত সময়ে ক্ষীরপাই নিবাসী শত্রুঘ্ন ভট্টাচার্যের কন্যা দীনময়ী দেবীর সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েন।
শিক্ষা জীবন
পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাল্যশিশু ঈশ্বরচন্দ্রকে মাত্র চার বছর নয় মাস বয়সে গ্রামের সনাতন বিশ্বাসের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন। তার পরবর্তীতে ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণের উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নামে এক উৎসাহী জ্ঞানী যুবক বীরসিংহ গ্রামে একটি নতুন পাঠশালা স্থাপন করলে আট বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র ঐ পাঠশালায় ভর্তি হন। আদর্শ শিক্ষক কালীকান্তের পাঠশালায় তিনি সেকালের প্রচলিত বাংলা শিক্ষা লাভ করেন।
১৮২৮ সালের নভেম্বর মাসে পাঠশালার শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় আসেন। কথিত আছে, পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষাগুরু কালীকান্ত মহাশয় ও চাকর আনন্দরামের সহিত পদব্রজে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসার সময় পথের ধারে মাইলফলকে ইংরেজি সংখ্যাগুলি দেখে তিনি সেগুলি অল্প বয়সেই আয়ত্ত করেছিলেন। কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের বিখ্যাত সিংহ পরিবারে থাকাকালীন সময়ে মাত্র নয় বছর বয়সে ১৮২৯ সালের জুন মাসে কলকাতা গভর্মেন্ট সংস্কৃত কলেজে (যা বর্তমানে সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত) ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। এরপর তিনি একই শ্রেণীতে সাড়ে তিন বছর অধ্যায়ন করেন। এই কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের সহপাঠী ছিলেন বিখ্যাত মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
ঈশ্বরচন্দ্র ব্যাকরণ পাঠের পাশাপাশি ১৮৩০ সালে সংস্কৃত কলেজের ইংরেজি শ্রেণিতেও ভর্তি হন। ১৮৩১ সালের মার্চ মাসে বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য মাসিক পাঁচ টাকা হারে বৃত্তি এবং ‘আউট স্টুডেন্ট’ হিসেবে একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ ও আট টাকা পারিতোষিক পান। তিন বছর ব্যাকরণ শ্রেণিতে পঠনপাঠনের পর বারো বছর বয়সে প্রবেশ করেন কাব্য শ্রেণিতে। ১৮৩৩ সালে ‘পে স্টুডেন্ট’ হিসেবেও ঈশ্বরচন্দ্র ২ টাকা পান। ১৮৩৪ সালে ইংরেজি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ঈশ্বরচন্দ্র বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য ৫ টাকা মূল্যের পুস্তক পারিতোষিক হিসেবে পান। ১৯৩৫ সালের নভেম্বর মাসে সংস্কৃত কলেজ থেকে ইংরাজি শিক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হলে এখানেই ইংরাজি শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। দ্বিতীয় বর্ষের সাহিত্য পরীক্ষায় প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হয়ে পনেরো বছর বয়সে অলংকার শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। অলংকার শাস্ত্র একটি কঠিন বিষয় হওয়ার সত্ত্বেও মাত্র এক বছরের মধ্যে সাহিত্য দর্পন, কাব্যপ্রকাশ ও রস গঙ্গাধর প্রভৃতি অলংকার গ্রন্থে ব্যুৎপত্তি অর্জন করে।
১৮৩৬ সালে বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার অর্জনের মাধ্যমে অলংকার পাঠ শেষ করেন। ১৮৩৭ সালের মে মাসে ঈশ্বরচন্দ্রের মাসিক বৃত্তি বেড়ে হয় আট টাকা। সে বছরই অর্থাৎ ১৮৩৭ সালে ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতি শ্রেণিতে ভর্তি হন। এই পরীক্ষাতেও তিনি অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন এবং হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপরও পিতার অনুরোধে ভর্তি হন বেদান্ত শ্রেণিতে। ১৮৩৮ সালে বেদান্ত পাঠে প্রথম স্থান অধিকার অর্জনের মাধ্যমে তা সমাপ্ত করেন। সংস্কৃতে শ্রেষ্ঠ গদ্য রচনার জন্য ১০০ টাকা পুরস্কারও পেয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। ১৮৪০-৪১ সালে ন্যায় শ্রেণিতে পঠনপাঠন করেন ঈশ্বরচন্দ্র। ন্যায় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে ১০০ টাকা, পদ্য রচনার জন্য ১০০ টাকা, দেবনাগরী হস্তাক্ষরের জন্য ৮ টাকা ও বাংলায় রেগুলেশন বিষয়ক পরীক্ষায় ২৫ টাকা-সর্বসাকুল্যে ২৩৩ টাকা পারিতোষিক পেয়েছিলেন।
১৮৪১ সালে সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা সম্পন্ন করার পর মাত্র একুশ বছর বয়সে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে ৫০ টাকা বেতনে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। ১৮৪৬ সালের ৫ই এপ্রিল এই পদে দায়িত্ব সামলানোর পর ৬ই এপ্রিল থেকে একই বেতনে সংস্কৃত কলেজে সহকারী সম্পাদকের ভার গ্রহণ করে।
১৮৪৭ সালে গড়ে তোলেন সংস্কৃত প্রেস ডিপজেটরি নামে একটি বইয়ের দোকান এবং বন্ধু মদনমোহনের সম-অংশী দারিত্বে গড়ে তোলেন সংস্কৃত যন্ত্র নামে একটি ছাপাখানা। এখানের তার প্রথম গ্রন্থ বেতাল পঞ্চবিংশটি প্রকাশিত হয়। ১৮৪৭ সালের জুলাই মাসে কলেজ পরিচালনার কাজে সেক্রেটারি রসময় দত্তের সাথে মতান্তর ঘটলে সংস্কৃত কলেজের সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপর ১৮৪৯ সালের মার্চ মাসে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে হেড রাইটার ও কোষাধ্যক্ষ পদে চাকুরী গ্রহণ করেন। ১৮৫০ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চাকুরী পরিত্যাগ করে সংস্কৃত কলেজের সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। ১৮৫১ সালের জানুয়ারি মাসে ঐ কলেজেরই অধ্যক্ষ হিসাবে নিযুক্ত হন। এরপর ১৮৫৩ সালে তার জন্মভূমি বিরসিংহ গ্রামে চালু করেন প্রথম অবৈতনিক বিদ্যালয়। ১৮৫৫ সালের ১৩ই এপ্রিল অর্থাৎ ১৯১২ সংস্কৃত বর্ষের ১লা বৈশাখ বাংলা শিশু পাঠ্য বর্ণমালা শিক্ষাগ্রন্থ বর্ণপরিচয় প্রকাশিত হয়। ঐ বৎসরের জুলাই মাসে সংস্কৃত কলেজের অধীনে নর্ম্যাল স্কুল স্থাপন করেন। এরপর দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা অর্থাৎ নদীয়া জেলায় ৫টি, হুগলী জেলায় ৫টি, বর্ধমান জেলায় ৫টি ও মেদিনীপুর জেলায় ৪টি বঙ্গবিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮৫৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য তিনি হুগলী জেলায় ৭টি ও বর্ধমান জেলায় ১টি বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলেন । এছাড়াও ১৯৫৮ সালে হুগলী জেলায় আরো ১৩টি, বর্ধমান জেলায় ১০টি, মেদিনীপুরে ৩টি ও নদীয়া জেলায় ১টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮৫৮ সালের নভেম্বরে অধিকর্তার সাথে মতবিরোধের জেরে অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন।
শিক্ষা-সমাজ সংস্কার
যুগে যুগে সমাজে যখনই দেখা দিয়েছে সামাজিক সংকট তখনই দেখা দিয়েছে ভগবানের এক রূপ। তেমনি ঈশ্বরচন্দ্রের হাত ধরে এসেছে তৎকালীন সমাজের পুরুষ শাষিত নারীর অত্যাচার থেকে মুক্তি। কারণ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে নারীশিক্ষার প্রগতি না করতে পারলে নারী সমাজের অগ্রগতি কখনই সম্ভব না। তাই তিনি ১৮৫৭-১৮৫৮ বর্ষে চারটি জেলায় মোট নারী ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এছাড়া বাংলা তথা মাতৃভাষা শিক্ষার অগ্রগতির জন্য তারই তত্ত্বাবধানে নর্মাল স্কুল স্থাপন করেন। এছাড়াও হার্ডিঞ্জের পরিকল্পনা মতো ১০১টি বঙ্গ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বাংলা ভাষার হাতেখড়ি জন্য তিনি বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড রচনাও করেন।
মাতা ভগবতী দেবীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার উদ্দেশ্য স্বরূপ নারীমুক্তি আন্দোলনকে পাথেয় করে তোলেন। শাস্ত্রীক নিয়মের দোহাই দেওয়া সমাজপতিদের তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে বিধবা নারীরাও মানুষ, তাদেরও সমাজে বাঁচার অধিকার আছে। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এর সহায়তায় রাজা রামমোহন রায় যে ‘সতীদাহ প্রথা’ রদ করেছিলেন, তারই পন্থা হিসাবে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৫৬ সালের ২৬শে জুলাই ‘বিধবা বিবাহ আইন’ পাশও করিয়ে বিধবা নারীদের দেন সমাজে মুক্তির স্বাদ। এমনকি তিনি নিজ খরচে বিধবাদের বিবাহও দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি তথাকথিত পুরুষ সমাজের বহু বিবাহ রদ করতে চেয়ে ছিলেন।
সাহিত্য চর্চা
১৮৪৭ সালে বেতাল পঞ্চবিংশতী হিন্দি থেকে বাংলা অনুবাদ করার মাধ্যমে তার সাহিত্যচর্চায় খ্যাতি অর্জন করতে থাকে। এরপর তিনি শকুন্তলা, সীতার বনবাস, মহাভারতের উপক্রমনীকা সংস্কৃত থেকে বাংলায় এবং বাঙ্গালার ইতিহাস, জীবন চরিত, নীতিবোধ, বোধদয়, কথামালা ইংরাজি থেকে বাংলায় রচনা করেন।
শিক্ষামূলক গ্রন্থ হিসাবে ১৮৫৫ সালে বর্ণপরিচয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড, ১৮৫১-১৮৫২ তে ঋজুপাঠের ১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড, ১৮৫৩ সালে ব্যাকরণ কৌমদি ও সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা রচনা করেন।
এছাড়াও তার সম্পাদনায় কিছু গ্রন্থ অন্নদামঙ্গল, কুমারসম্ভবম, রঘুবংশম, মেঘদূতম, অভিজ্ঞান শকুন্তলম প্রকাশিত হয়।
এর পাশাপাশি তিনি মৌলিক গ্রন্থও রচনা করেছিলেন; যেমন সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব, ব্রজবিলাস, প্রভাবতী সম্ভাষণ, রত্নপরীক্ষা, শব্দমঞ্জুরী; সমাজসংস্কার মূলক- ‘বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’, বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিশয়ক প্রস্তাব’ বিষয়ে রচনা করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
বাঙালি সমাজ তথা সমগ্র ভারতবাসীর কাছে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৯ সালের ২২ শে এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার ফলস্বরূপ ১৬মে ল কমিটির কাছ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধিটি পান। এছাড়াও তার স্মৃতি রক্ষার্থে এ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপিত হয়েছে, কলকাতায় আধুনিক স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসাবে ‘বিদ্যাসাগর সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে।
বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় লিভারে ক্যানসার আক্ৰান্ত হয়ে ১৮৯১ সালের ২৯শে জুলাই রাত্রি দুটো আঠারো মিনিটে তার কলকাতার বাদুড়বাগানস্থ বাসভবনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী PDF
File details :.
File Name : Ishwar Chandra Vidyasagar Biography Language : Bengali No. of Pages : 03 Size : 01 MB
আরও দেখুন :
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী
- সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জীবনী
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী | APJ Abdul Kalam Biography in Bengali
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবনী | sarat chandra chattopadhyay biography in bengali, মেজর ধ্যানচাঁদ জীবনী | major dhyan chand biography in bengali.
লেখাটি পড়ে ভাল লাগল । ধন্যবাদ।
For this information now I can complete my project. Thank you for the information
Ishwar chandra vidyasagar birth of place is birsingha gram, paschim Medinipur
বীরসিংহ গ্রামটি অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হলেও, সেই যুগে ছিল হুগলী জেলার অন্তর্ভুক্ত।
LEAVE A REPLY Cancel reply
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Recent posts
26th september 2024 current affairs quiz in bengali, 25th september 2024 current affairs quiz in bengali, 24th september 2024 current affairs quiz in bengali, popular posts, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা | teachers day speech in bengali, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়োগ 2023 | bsk new recruitment 2023, শিক্ষক দিবস বক্তৃতা | শিক্ষক দিবস সম্পর্কে কিছু কথা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ ২০২৩, archive list.
- October 2024
- September 2024
- August 2024
- February 2024
- January 2024
- December 2023
- November 2023
- October 2023
- September 2023
- August 2023
- February 2023
- January 2023
- December 2022
- November 2022
- October 2022
- September 2022
- August 2022
এটি একটি এডুকেশনাল ব্লগ, পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করাই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
Contact us: [email protected]
All Rights Reserved © Kolom
দয়ার প্রতিভু ~ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর | Biography of Vidyasagar in Bengali with PDF
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর জীবনী পিডিএফ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Life story of Ishwar Chandra Vidyasagar in Bangla Language with PDF download
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ বীর সিংহের সিংহশিশু বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা গদ্যের জনক ও বাঙালি জীবনের স্মারক। দরিদ্র পরিবারে জন্মে, দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটিয়েও বিদ্যাসাগর বাঙালি জাতিকে শিখিয়েছেন আত্মবিশ্বাস, কর্ম নিষ্ঠার জোরে ব্যক্তিত্বশালী পুরুষ হবার শিক্ষা।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঙালির জাতির কাছে একটি প্রাতঃস্মরণীয় নাম । তিনি সমাজের পুঞ্জীভূত অন্ধকার ,দুঃসহ বেদনা ও অসহায় ক্রন্দন ,সহৃদয়তার করস্পর্শে মুছে দিয়ে সমাজের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন; তিনি আর কেউ নন , তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি- 'ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর' ।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের গল্প | Life of Ishwar Chandra Vidyasagar
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম(১৮২০, ২৬শে সেপ্টেম্বর )। মাতা ভগবতী দেবী ও পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য সন্তান ছিলেন বিদ্যাসাগর। গ্রামের পাঠশালায় তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু। এরপর পিতার সঙ্গে পায়ে হেঁটে আসেন কলকাতা এবং আসার পথে মাইলপোস্টের সংখ্যা গুণে গুণে গণিতের পাঠ গ্রহণ করেন।
Ambulance Blast | অ্যাম্বুল্যান্সে অন্তঃসত্ত্বা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ! অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা
Kolkata Chess Tournament । কলকাতায় দাবার ডুয়েল, মুখোমুখি দুই গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস এবং প্রজ্ঞানন্দ
Salt Lake Accident | বেপরোয়া গতির 'বলি' খুদে স্কুল পড়ুয়া! সল্টলেকে বাসের রেষারেষির জেরে প্রাণ গেল পড়ুয়ার
RG Kar Case | “বিনীত গোয়েল আমায় ফাঁসিয়েছে”! আরজিকর কাণ্ডের বিচারপর্বের শুরুতেই বিস্ফোরক মন্তব্য ধৃত সঞ্জয় রায়ের
Earthquake | পর পর দুবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দেশ! বদলে যেতে পারে দেশের মানচিত্র
Sanjay Bangar Son | ১০ মাসে আরিয়ান থেকে অন্যা, 'রূপান্তরিত' হয়েই ICCর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রাক্তন ওপেনার সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তানের
Railway | হাওড়ার সঙ্গে দূরত্ব কমবে বাঁকুড়ার! ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর মশাগ্রাম স্টেশনে হবে নন ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ
কলকাতার সংস্কৃত কলেজে তিনি ভর্তি হন। প্রচণ্ড দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে নিজের হাতে রান্নাবান্না করে রাস্তায় গ্যাসের লাইটে দাঁড়িয়ে ক্লাসের পড়া করে অতিকষ্টে তিনি বিদ্যাশিক্ষা করেন। অসামান্য মেধা ও কঠোর পরিশ্রম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে তিনি প্রতি ক্লাসে প্রথম হতেন ও সেইজন্য বৃত্তি লাভ করতেন। দারিদ্র্যের কষাঘাত তাঁকে বিদ্যার সাধনা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে তাঁর যে প্রশংসাপত্রটি প্রাপ্তি হয় তাতেই প্রথম তার নামের সাথে 'বিদ্যাসাগর' উপাধিটি ব্যবহার করা হয়েছিল । অসামান্য প্রতিভাবলে তিনি এই ভাবে বিভিন্ন শাস্ত্রে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। কেবল প্রাচ্য সংস্কৃত -বিদ্যা ই নয় পাশ্চাত্য ইংরেজি শিক্ষার প্রতিও তাঁর ছিল প্রগাঢ় অনুরাগ। কঠোর অধ্যাবসায় ও অমানুষিক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবনের প্রস্তুতি পর্ব সমাপ্ত হয় ।
১৮৪১ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে তিনি প্রধান পণ্ডিত হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে জানুয়ারি তিনি সংস্কৃত কলেজে নিযুক্ত হন। প্রথমে তিনি সহকারী সম্পাদকের পদ এবং পরবর্তীকালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন।সেই সঙ্গে স্কুল পরিদর্শকের অতিরিক্ত কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। কিছুকাল পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় তিনি কর্ম ত্যাগ করে বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। এই সময় তিনি কঠোর পরিশ্রম করে মেট্রোপলিটন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- শিক্ষা সংস্কার | বাংলার নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর অবদান
ঈশ্বরচন্দ্র বাঙালিদের অশিক্ষার তমসা থেকে জ্যোতির্ময় আলোতে আনতে চেয়েছিলেন। জাতিকে তিনি মুক্তি ও বিচারবোধে উদ্দীপ্ত করতে চেয়েছিলেন। সেই জন্য প্রয়োজন ছিল উপযুক্ত শিক্ষার। সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠনের রিপোর্টে বিদ্যাসাগর তাঁর শিক্ষানীতিকে দৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। কৃষিজীবী বয়স্ক মানুষের জন্য তিনি কার্মাটারে নাইট স্কুল খোলেন। মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনকে তিনি বৃহৎ বেসরকারি কলেজে পরিণত করেন ।
হার্ডিঞ্জের পরিকল্পনামতো তিনি ১০১ টি বঙ্গ বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য তিনি সব থেকে বেশি প্রয়াসী হয়েছিলেন। এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ,জড়তাগ্রস্ত সমাজের পক্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার গুরুত্ব কতখানি তিনি তা উপলব্ধি করেছিলেন ।শিক্ষা বিস্তারে তার অদম্য উৎসাহের মূলে ছিল তাঁর সেই উপলব্ধি । শিক্ষাবিস্তারই ছিল তাঁর সমাজসংস্কারের প্রাথমিক সোপান। কেবল পুরুষদের মধ্যেই নয় , নারী সমাজে ও শিক্ষাবিস্তারের জন্য ছিল তাঁর সমান উৎসাহ ।বহু বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন ছিল তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তি ।শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির স্বাক্ষর রেখে গেছেন তা সেকালের এক ব্রাহ্ম সন্তানের পক্ষে সত্যিই বিস্ময়কর ।
আরো পড়ুন: ধনকুবের ইলন মাস্ক সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য জেনে নিন
- সমাজ সংস্কারক
মাতা ভগবতীর প্রতি শ্রদ্ধাই তাঁকে নারীমুক্তি আন্দোলনে নিয়োজিত করেছিল। রামমোহন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নারীদের প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন ,বিদ্যাসাগর সেই পথেই বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন-শাস্ত্রীয় নিয়মের দোহাই দিয়ে সমাজপতিদের বোঝাতে চেয়েছিলেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।
১৮৫৬ সালের ২৬ শে জুলাই, বিদ্যাসাগর 'বিধবা বিবাহ আইন' পাস করিয়ে নেন ।এখানেই তিনি থেমে থাকেননি; নিজের খরচে তিনি এক একটি করে বিধবা বিবাহ দিয়েছিলেন এবং সেই জন্য তাঁর ব্যক্তিগত ঋণ একসময় বিরাশি হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। এছাড়াও তিনি পুরুষের বহুবিবাহ রদ করতেও সচেষ্ট হয়েছিলেন। বাল্যবিবাহ নিবারণও ছিল তাঁর অন্যতম প্রধান কীর্তি।
আরো পড়ুন: ইংরেজি সাহিত্যের রূপকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবনী
- দয়ার সাগর কে ? এবং কেন ?
তিনি শুধু বিদ্যাসাগর ই ছিলেন না ,তিনি ছিলেন দয়ার সাগর, করুণার সাগর ।শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে 'দয়ার সাগর" বলে অভিহিত করেছিলেন। পরদুঃখকাতরতা তাঁকে দীন- দুঃখীর চোখের জল মোছাতে সচেষ্ট করেছিল।মায়ের কথাতেই তিনি গ্রামের মানুষের জন্য অন্নসত্র খুলেছিলেন ,শীতার্ত মানুষকে গরম বস্ত্র দান করেছিলেন ও বহু দাতব্য চিকিৎসালয়ও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রবাসী কবি মধুসূদনকে চরম আর্থিক অনটনের হাত থেকে তিনি রক্ষা করেছিলেন
।দেশাচার ছাড়াও লোকাচারের ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে তিনি মূল্য দিয়েছিলেন বেশি ।এই পৃথিবীতে তিনি সাধারণ অবহেলিত মানুষদের বসবাসযোগ্য করে যাওয়ার মন্ত্রে ব্রতী হয়েছিলেন । বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তি একটি প্রবাদের মর্যাদা লাভ করেছিল ।তিনি মায়ের ডাকে বিপৎসংকুল দামোদর নদ সাঁতার কেটে পার করেছিলেন । এই মাতৃভক্তি ই তাঁকে সকল বাধা বিঘ্ন তুচ্ছ করে পরের দুঃখ মোচনের প্রেরণা দান করেছিল।
- সাহিত্যকীর্তি | Literature by Vidyasagar
বাংলা সাহিত্য বিদ্যাসাগরের প্রতিভার কাছে গভীরভাবে ঋণী । 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'' 'বর্ণপরিচয়', 'সীতার বনবাস', 'শকুন্তলা', 'ভ্রান্তিবিলাস" প্রভৃতি গ্রন্থ ছিল প্রবাহমান স্বতঃস্ফূর্ত গদ্যের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত । 'বর্ণপরিচয়' এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি সাধারণ বাঙালির 'হাতেখড়ি' হয়েছে বললেও অত্যুক্তি হবে না।এছাড়াও তিনি সমাজ সংস্কারমূলক বহু সাহিত্যের রচয়িতা। লঘু রচনার মধ্যে 'অতি অল্প হইল', 'আবার অতি অল্প হইল' ইত্যাদি দৃষ্টি আকর্ষণীয়। মৌলিক রচনা হিসেবে 'প্রভাবতী সম্ভাষণ ' যা বিদ্যাসাগর রচনা করেছিলেন তাঁর বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যার মৃত্যুতে ছিল একটি মনোগ্রাহী সাহিত্যিক নিদর্শন।
আরো পড়ুন: মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য | চৈতন্যদেবের জীবনকাহিনী
- জাতীয়তাবোধ | Nationalism
বর্তমান মেরুদণ্ডহীন বাঙ্গালি জাতির কাছে বিদ্যাসাগর ছিলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন স্বদেশপ্রেমিক। জাতিরও দেশের কল্যাণে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজরা সংস্কৃত কলেজে অস্থায়ী আস্তানা স্থাপন করতে চাইলে বিদ্যাসাগর মশাই তাঁর প্রতিবাদ করেন।জাতীয় কংগ্রেসকে তিনি সশস্ত্র আন্দোলনে রূপায়িত করার স্বপ্ন দেখতেন। মা ও দেশের মাটির প্রতি তাঁর টান ছিল সহজাত।
সম্মান ও স্বীকৃতি | Achievements & Awards
১৮৮০ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সিআইই উপাধিতে ভূষিত করা হয় । ১৮৮৩ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলি | Vidyasagar's Characteristics
ঈশ্বরচন্দ্র যে যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে যুগ ছিল - 'Age of reason and rights of man ' এর। কুসংস্কারের অচলায়তনে বাঙালি সমাজ যখন বদ্ধ, শাস্ত্রীয় নিয়মের দোহাই দিয়ে তথাকথিত কিছু সমাজপতি যখন সমাজের একচ্ছত্র কর্তা হিসেবে বিরাজমান, তখন বিদ্যাসাগর নিজের প্রচেষ্টায় সেই অচলায়তনের প্রাচীরকে যুক্তির দ্বারা ভেঙে ফেলে মানবতার জয় ঘোষণা করেছিলেন । তিনিই উপলব্ধি করেছিলেন অশাস্ত্র , কুশিক্ষা ,অশিক্ষার ঘেরাটোপে পড়ে মানুষ তার মনুষ্যত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। তাই তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন 'বহুজনহিতায়'র উদ্দেশ্যে। ।
- মৃত্যু | Death of Vidyasagar
১৮৯১ সালের ২৯ শে জুলাই এই অজেয় পৌরুষ- শিখা চির- নির্বাপিত হন । তাঁর নির্ভীক চরিত্রের মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষির অতলান্ত প্রজ্ঞা, ইংরেজ সৈনিকের দুর্বার তেজস্বিতা এবং বাঙালি জননীর স্নেহ ও সুকোমল হৃদয়ের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছিল ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন দরিদ্রের পরম বন্ধু, মানবতার মহান পুরোহিত । যাঁর সমুচ্চ জীবনাদর্শ এই অধঃপতিত জাতিকে চরম অপমানের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। যাঁর বিলাসিতা হীন সরল জীবন এই শুষ্ক হৃদয়হীন দেশে করুণার প্লাবন বইয়ে দিয়েছিল , যাঁর জ্ঞান-গভীরতা তেজস্বীতা ও পরদুঃখকাতরতায় বাঙালি সমাজে নবজীবনের আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হয়ে পড়েছিল তিনি যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তা সর্বজনস্বীকৃত। একালে ও তাই বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলি আমাদের একমাত্র আদর্শ স্থল ।
বিদ্যাসাগরকে উপলব্ধি করতে গেলে ,তাঁকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে গেলে প্রয়োজন তার ইস্পাতের মতো চারিত্রিক কাঠামোকে অনুধাবন করা। মধু কবি নিজের জীবনে উপলব্ধি করেছিলেন বিদ্যাসাগরের দয়া দাক্ষিণ্য; তাই তিনি গেয়ে উঠেছিলেন, "বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে করুণা সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে, দীন যে দীনের বন্ধু "। নবজাগরণের পথিকৃৎ, অপরাজেয় এই মহানপুরুষের অবিস্মরণীয় কীর্তি আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল । ওনার আদর্শই হোক প্রত্যেকটি মানুষের জীবন চলার পাথেয়।
প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions
বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন.
১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিদ্যাসাগরের পিতার নাম কি?
ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদ্যাসাগর কত সালে কলকাতার পাঠশালায় ভর্তি হন?
১৮২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে কলকাতার একটি পাঠশালায় ভর্তি হন।
বিদ্যাসাগর কত সালে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হয়?
১৮২৯ সালের জুন মাসে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করানো হয়।
ঈশ্বরচন্দ্র কত সালে বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন?
১৮৩৯ সালের মধ্যেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।
কারা ঈশ্বরচন্দ্রকে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করেন?
সংস্কৃত কলেজ।
বিদ্যাসাগর কত সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার ও কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন?
১৮৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার ও কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
কত সালে বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন?
১৮৫১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি সংস্কৃত কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট এর নাম কি রাখেন?
১৮৬৪ সালে তিনি এর নাম রাখেন হিন্দু মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট।
মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন এর বর্তমান নাম কি?
বিদ্যাসাগর কলেজ।
বিদ্যাসাগরের মৃত্যু কত সালে হয়?
২৯ জুলাই, ১৮৯১।
- জীবন ও জীবনী
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
Contents ( Show )
- সম্মান ও স্বীকৃতি | Achievements & Awards
- বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলি | Vidyasagar's Characteristics
- প্রশ্নোত্তর ( Frequently Asked Questions )
পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File
Track Latest Bengali Updates Daily on Bengalbyte.in and get news from Bangladesh, West Bengal and around the world.
দয়ার প্রতিভু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ বীর সিংহের সিংহশিশু বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা গদ্যের জনক ও বাঙালি জীবনের স্মারক। দরিদ্র পরিবারে জন্মে, দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটিয়েও বিদ্যাসাগর বাঙালি জাতিকে শিখিয়েছেন আত্মবিশ্বাস, কর্ম নিষ্ঠার জোরে ব্যক্তিত্বশালী পুরুষ হবার শিক্ষা।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঙালির জাতির কাছে একটি প্রাতঃস্মরণীয় নাম ।
তিনি সমাজের পুঞ্জীভূত অন্ধকার ,দুঃসহ বেদনা ও অসহায় ক্রন্দন ,সহৃদয়তার করস্পর্শে মুছে দিয়ে সমাজের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন; তিনি আর কেউ নন , তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি- ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্যে স্ক্রল করে একদম শেষে চলে যান এই পোষ্টিটির। ওখানে ডাউনলোড এর অপসন রয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর জীবনী
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম(১৮২০, ২৬শে সেপ্টেম্বর )। মাতা ভগবতী দেবী ও পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য সন্তান ছিলেন বিদ্যাসাগর। গ্রামের পাঠশালায় তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু। এরপর পিতার সঙ্গে পায়ে হেঁটে আসেন কলকাতা এবং আসার পথে মাইলপোস্টের সংখ্যা গুণে গুণে গণিতের পাঠ গ্রহণ করেন। কলকাতার সংস্কৃত কলেজে তিনি ভর্তি হন।
প্রচণ্ড দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে নিজের হাতে রান্নাবান্না করে রাস্তায় গ্যাসের লাইটে দাঁড়িয়ে ক্লাসের পড়া করে অতিকষ্টে তিনি বিদ্যাশিক্ষা করেন। অসামান্য মেধা ও কঠোর পরিশ্রম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে তিনি প্রতি ক্লাসে প্রথম হতেন ও সেইজন্য বৃত্তি লাভ করতেন। দারিদ্র্যের কষাঘাত তাঁকে বিদ্যার সাধনা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে তাঁর যে প্রশংসাপত্রটি প্রাপ্তি হয় তাতেই প্রথম তার নামের সাথে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধিটি ব্যবহার করা হয়েছিল । অসামান্য প্রতিভাবলে তিনি এই ভাবে বিভিন্ন শাস্ত্রে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন। কেবল প্রাচ্য সংস্কৃত -বিদ্যা ই নয় পাশ্চাত্য ইংরেজি শিক্ষার প্রতিও তাঁর ছিল প্রগাঢ় অনুরাগ। কঠোর অধ্যাবসায় ও অমানুষিক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবনের প্রস্তুতি পর্ব সমাপ্ত হয় ।
ভগিনী নিবেদিতার জীবন কাহিনী পড়ুন
১৮৪১ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে তিনি প্রধান পণ্ডিত হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে জানুয়ারি তিনি সংস্কৃত কলেজে নিযুক্ত হন। প্রথমে তিনি সহকারী সম্পাদকের পদ এবং পরবর্তীকালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন।সেই সঙ্গে স্কুল পরিদর্শকের অতিরিক্ত কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন।
কিছুকাল পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় তিনি কর্ম ত্যাগ করে বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। এই সময় তিনি কঠোর পরিশ্রম করে মেট্রোপলিটন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অমূল্য উক্তি ও বাণীসমূহ
শিক্ষা সংস্কার
ঈশ্বরচন্দ্র বাঙালিদের অশিক্ষার তমসা থেকে জ্যোতির্ময় আলোতে আনতে চেয়েছিলেন। জাতিকে তিনি মুক্তি ও বিচারবোধে উদ্দীপ্ত করতে চেয়েছিলেন। সেই জন্য প্রয়োজন ছিল উপযুক্ত শিক্ষার। সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠনের রিপোর্টে বিদ্যাসাগর তাঁর শিক্ষানীতিকে দৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। কৃষিজীবী বয়স্ক মানুষের জন্য তিনি কার্মাটারে নাইট স্কুল খোলেন। মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনকে তিনি বৃহৎ বেসরকারি কলেজে পরিণত করেন ।
হার্ডিঞ্জের পরিকল্পনামতো তিনি ১০১ টি বঙ্গ বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য তিনি সব থেকে বেশি প্রয়াসী হয়েছিলেন। এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ,জড়তাগ্রস্ত সমাজের পক্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার গুরুত্ব কতখানি তিনি তা উপলব্ধি করেছিলেন ।শিক্ষা বিস্তারে তার অদম্য উৎসাহের মূলে ছিল তাঁর সেই উপলব্ধি ।
শিক্ষাবিস্তারই ছিল তাঁর সমাজসংস্কারের প্রাথমিক সোপান। কেবল পুরুষদের মধ্যেই নয় , নারী সমাজে ও শিক্ষাবিস্তারের জন্য ছিল তাঁর সমান উৎসাহ ।বহু বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন ছিল তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তি । শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি যে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির স্বাক্ষর রেখে গেছেন তা সেকালের এক ব্রাহ্ম সন্তানের পক্ষে সত্যিই বিস্ময়কর ।
সমাজ সংস্কারক
মাতা ভগবতীর প্রতি শ্রদ্ধাই তাঁকে নারীমুক্তি আন্দোলনে নিয়োজিত করেছিল। রামমোহন সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নারীদের প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন ,বিদ্যাসাগর সেই পথেই বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন-শাস্ত্রীয় নিয়মের দোহাই দিয়ে সমাজপতিদের বোঝাতে চেয়েছিলেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।
১৮৫৬ সালের ২৬ শে জুলাই, বিদ্যাসাগর ‘বিধবা বিবাহ আইন’ পাস করিয়ে নেন ।এখানেই তিনি থেমে থাকেননি; নিজের খরচে তিনি এক একটি করে বিধবা বিবাহ দিয়েছিলেন এবং সেই জন্য তাঁর ব্যক্তিগত ঋণ একসময় বিরাশি হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। এছাড়াও তিনি পুরুষের বহুবিবাহ রদ করতেও সচেষ্ট হয়েছিলেন। বাল্যবিবাহ নিবারণও ছিল তাঁর অন্যতম প্রধান কীর্তি।
তিনি শুধু বিদ্যাসাগর ই ছিলেন না ,তিনি ছিলেন দয়ার সাগর, করুণার সাগর । শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে ‘দয়ার সাগর” বলে অভিহিত করেছিলেন। পরদুঃখকাতরতা তাঁকে দীন- দুঃখীর চোখের জল মোছাতে সচেষ্ট করেছিল।মায়ের কথাতেই তিনি গ্রামের মানুষের জন্য অন্নসত্র খুলেছিলেন ,শীতার্ত মানুষকে গরম বস্ত্র দান করেছিলেন ও বহু দাতব্য চিকিৎসালয়ও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রবাসী কবি মধুসূদনকে চরম আর্থিক অনটনের হাত থেকে তিনি রক্ষা করেছিলেন ।দেশাচার ছাড়াও লোকাচারের ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে তিনি মূল্য দিয়েছিলেন বেশি ।এই পৃথিবীতে তিনি সাধারণ অবহেলিত মানুষদের বসবাসযোগ্য করে যাওয়ার মন্ত্রে ব্রতী হয়েছিলেন । বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তি একটি প্রবাদের মর্যাদা লাভ করেছিল ।তিনি মায়ের ডাকে বিপৎসংকুল দামোদর নদ সাঁতার কেটে পার করেছিলেন । এই মাতৃভক্তি ই তাঁকে সকল বাধা বিঘ্ন তুচ্ছ করে পরের দুঃখ মোচনের প্রেরণা দান করেছিল।
সাহিত্যকীর্তি
বাংলা সাহিত্য বিদ্যাসাগরের প্রতিভার কাছে গভীরভাবে ঋণী । ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি” ‘বর্ণপরিচয়’, ‘সীতার বনবাস’, ‘শকুন্তলা’, ‘ভ্রান্তিবিলাস” প্রভৃতি গ্রন্থ ছিল প্রবাহমান স্বতঃস্ফূর্ত গদ্যের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত । ‘বর্ণপরিচয়’ এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি সাধারণ বাঙালির ‘হাতেখড়ি’ হয়েছে বললেও অত্যুক্তি হবে না।এছাড়াও তিনি সমাজ সংস্কারমূলক বহু সাহিত্যের রচয়িতা।
লঘু রচনার মধ্যে ‘অতি অল্প হইল’, ‘আবার অতি অল্প হইল’ ইত্যাদি দৃষ্টি আকর্ষণীয়। মৌলিক রচনা হিসেবে ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ ‘ যা বিদ্যাসাগর রচনা করেছিলেন তাঁর বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যার মৃত্যুতে ছিল একটি মনোগ্রাহী সাহিত্যিক নিদর্শন।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা বইগুলি পরে নিন এখানে
জাতীয়তাবোধ
বর্তমান মেরুদণ্ডহীন বাঙ্গালি জাতির কাছে বিদ্যাসাগর ছিলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন স্বদেশপ্রেমিক। জাতিরও দেশের কল্যাণে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজরা সংস্কৃত কলেজে অস্থায়ী আস্তানা স্থাপন করতে চাইলে বিদ্যাসাগর মশাই তাঁর প্রতিবাদ করেন।জাতীয় কংগ্রেসকে তিনি সশস্ত্র আন্দোলনে রূপায়িত করার স্বপ্ন দেখতেন। মা ও দেশের মাটির প্রতি তাঁর টান ছিল সহজাত।
সম্মান ও স্বীকৃতি
১৮৮০ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সিআইই উপাধিতে ভূষিত করা হয় ।১৮৮৩ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলি
ঈশ্বরচন্দ্র যে যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে যুগ ছিল – ‘Age of reason and rights of man ‘ এর। কুসংস্কারের অচলায়তনে বাঙালি সমাজ যখন বদ্ধ, শাস্ত্রীয় নিয়মের দোহাই দিয়ে তথাকথিত কিছু সমাজপতি যখন সমাজের একচ্ছত্র কর্তা হিসেবে বিরাজমান, তখন বিদ্যাসাগর নিজের প্রচেষ্টায় সেই অচলায়তনের প্রাচীরকে যুক্তির দ্বারা ভেঙে ফেলে মানবতার জয় ঘোষণা করেছিলেন । তিনিই উপলব্ধি করেছিলেন অশাস্ত্র , কুশিক্ষা ,অশিক্ষার ঘেরাটোপে পড়ে মানুষ তার মনুষ্যত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। তাই তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ‘বহুজনহিতায়’র উদ্দেশ্যে। ।
বিবেকানন্দের শর্ট জীবনী ও বাণী সমূহ
১৮৯১ সালের ২৯ শে জুলাই এই অজেয় পৌরুষ- শিখা চির- নির্বাপিত হন । তাঁর নির্ভীক চরিত্রের মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষির অতলান্ত প্রজ্ঞা, ইংরেজ সৈনিকের দুর্বার তেজস্বিতা এবং বাঙালি জননীর স্নেহ ও সুকোমল হৃদয়ের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছিল ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন দরিদ্রের পরম বন্ধু, মানবতার মহান পুরোহিত । যাঁর সমুচ্চ জীবনাদর্শ এই অধঃপতিত জাতিকে চরম অপমানের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। যাঁর বিলাসিতা হীন সরল জীবন এই শুষ্ক হৃদয়হীন দেশে করুণার প্লাবন বইয়ে দিয়েছিল , যাঁর জ্ঞান-গভীরতা তেজস্বীতা ও পরদুঃখকাতরতায় বাঙালি সমাজে নবজীবনের আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হয়ে পড়েছিল তিনি যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তা সর্বজনস্বীকৃত।
একালে ও তাই বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক গুণাবলি আমাদের একমাত্র আদর্শ স্থল । বিদ্যাসাগরকে উপলব্ধি করতে গেলে ,তাঁকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে গেলে প্রয়োজন তার ইস্পাতের মতো চারিত্রিক কাঠামোকে অনুধাবন করা।
মধু কবি নিজের জীবনে উপলব্ধি করেছিলেন বিদ্যাসাগরের দয়া দাক্ষিণ্য; তাই তিনি গেয়ে উঠেছিলেন, “বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে করুণা সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে, দীন যে দীনের বন্ধু “ । নবজাগরণের পথিকৃৎ, অপরাজেয় এই মহানপুরুষের অবিস্মরণীয় কীর্তি আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল । ওনার আদর্শই হোক প্রত্যেকটি মানুষের জীবন চলার পাথেয়।
Download PDF
Download PDF of Vidyasagar’s Biography in Bengali from here ( বিদ্যাসাগরের জীবনীর পিডিএফ এখানে ক্লিক করে করুন )
FAQ (সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি)
বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন.
১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিদ্যাসাগরের পিতার নাম কি?
ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদ্যাসাগর কত সালে কলকাতার পাঠশালায় ভর্তি হন?
১৮২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে কলকাতার একটি পাঠশালায় ভর্তি হন।
বিদ্যাসাগর কত সালে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হয়?
১৮২৯ সালের জুন মাসে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করানো হয়।
ঈশ্বরচন্দ্র কত সালে বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন?
১৮৩৯ সালের মধ্যেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।
কারা ঈশ্বরচন্দ্রকে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করেন?
সংস্কৃত কলেজ।
বিদ্যাসাগর কত সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার ও কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন?
১৮৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার ও কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
কত সালে বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন?
১৮৫১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি সংস্কৃত কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।
বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট এর নাম কি রাখেন?
১৮৬৪ সালে তিনি এর নাম রাখেন হিন্দু মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট।
মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন এর বর্তমান নাম কি?
বিদ্যাসাগর কলেজ।
বিদ্যাসাগরের মৃত্যু কত সালে হয়?
২৯ জুলাই, ১৮৯১।
Go to Generate Picture Page by Entering Your Email Address
If you provide your email then we will not ask you for email again.
- Create Photo 🤩
- Create Photo
Editorial Desk
Recent Posts
স্বামীকে নিয়ে লেখা উক্তি, ক্যাপশন ও সেরা লাইন, Best quotes, captions on husband in Bengali
স্বামী স্ত্রী পরস্পরের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।...
প্রিয় বন্ধু/ প্রিয় বান্ধবীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা, Best happy birthday wishes for your friend/ best friend in Bengali
বন্ধুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা পাঠানো শুধু একটি সামাজিক আচরণ নয়; এটি...
Isvar Chandra Vidyasagar, a story of his life and work
See here for Encyclopædia Britannica article.
ISVAR CHANDRA VIDYASAGAR
A STORY OF HIS LIFE AND WORK.
SUBAL CHANDRA MITRA.
WITH AN INTRODUCTION BY
R. C. DUTT , Esq. C. I. E.
Printed and Published by Sarat Chandra Mitra, New Bengal Press,
159, Maniktola Street. 1902.
His Highness Maharaj-Adhiraj Bijay Chand Mahtab Bahadur
WHO BY HIS INTELLIGENCE, HONESTY AND BENEVOLENCE HAS WON THE ADMIRATION OF ALL BENGAL,
THIS BOOK IS DEDICATED
AS A TOKEN OF SINCERE ESTEEM AND REGARD, BY HIS HIGHNESS' HUMBLE SERVANT,
The Author.
The present publication is intended to meet a long-felt desideratum. Biographies of the late venerable Vidyasagar have been written in Bengali by distinguished writers, but no attempt has yet been made to bring out in English an account of the life and career of that eminent man, although more than eleven years have passed away since he left this world. All this long while we have been waiting to see if an abler hand than ourselves would take up this onerous task, but in vain; so, with great reluctance, we at last feel compelled to take this mighty responsibility upon ourselves. Our sole aim has been to give a clear and faithful account of the life-work of the great pundit in the simplest language at our command; without endeavouring in the least to gloss over what appeared to us as his short-comings. How far we have succeeded in our attempt it is for the reading public to judge.
We have to express our indebtedness to our venerable countryman Mr. R. C. Dutt C. I. E. for his kindness in writing the Introduction. Indeed, the readiness with which he accepted the task will always be gratefully remembered by the present writer. As regards the body of the work, our heart-felt thanks are due to Babu Behari Lal Sarkar, the veteran author and journalist, from whose excellent biography of Vidyasagar in Bengali, we have got much help in the compilation of this work. His kindness and generosity and the very valuable aid rendered by him all through the course of the writing of the book deserve our most grateful recognition. Without his help, the work would never have been what it is.
Before concluding, we feel it also to be our duty to acknowledge with thanks the help we have received from Pandit Narayan Chandra Vidyaratna in the shape of many anecdotes which he has told us regarding his illustrious father, and this we do accordingly. Thanks are also due to Babu Chandi Charan Banerjee for his kind permission to make extracts from letters contained in his life of Vidyasagar in Bengali.
The book is offered to the public in all humility. We shall feel ourselves sufficiently rewarded for our pains if it is accepted in the spirit in which it is offered.
CHAPTER I .
birth and ancestry.
Birth—Family history—Bhuvanesvar Vidyalankar, Isvar Chandra's great-grand-father—Ramjay Tarkabhushan, Isvar Chandra's grand-father—Thakurdas, Isvar Chandra's father—Bhagavati Devi, Isvar Chandra's mother—Predictions of an astrologer on his birth. 1–18.
CHAPTER II .
childhood and early instruction.
Vidyasagar's birth-moment—Admission to village Pathsala—Childish naughtiness—Good parts manifested at an early age. 19–27.
CHAPTER III .
advent to calcutta.
Journey to Calcutta—Isvar Chandra's wonderful memory—Admission to a Vernacular Pathsala—Jagaddurlabh Sinba's family—Isvar Chandra's Dysentery—He goes back to Birsingha—Recovers—Returns to Calcutta. 28–40.
CHAPTER IV .
admission into the sanskrit college.
Admission into the Sanskrit College—The Sanskrit College—The Hindu College—Early professors of the Sanskrit College—Hard treatment of the father—Isvar Chandra wins prizes—Promoted to the Belles-lettres class—Wins prizes for good hand-writing—Struggles against the hardships of poverty. 40–60.
CHAPTER V .
marriage and subsequent studies.
Married to Dinamayi Devi—Father-in-law Satrughna Bhattacharyya—Isvar Chandra promoted to the Rhetoric class—Wins the first prize at the annual examination— Has an attack of Dysentery—Recovers—Wins a scholarship—Tenderness of his heart—Respect for elders—Affection for the younger brothers—Enters the Smriti class—Passes the law committee examination. 60–74.
CHAPTER VI .
further studies—conclusion of school life.
Isvar Chandra secures a post of Judge Pundit—Declines the offer—Enters the Vedanta class—Wins prizes at essay-writing—Shows strength of mind—Enters the Nyaya class—Wins prizes in ready money—Officiates as Second Teacher of Grammar—Passes the final examination creditably and wins the title of Vydyasagar —Displays abilities at composition—Wins a prize of one hundred rupees for poetical composition. 74–84.
CHAPTER VII .
entrance into the world: first appointment
CHAPTER VIII .
continuance in the fort william college.
Mr. Marshall reads Sanskrit with Vidyasagar—Change in the Educational policy—General Committee of Public Instruction—The Council of Education—Hardinge School—Vidyasagar relieves his father of his toilsome servitude—Magnanimity of his heart—Kindness Disinterestedness—Abilities at pedestrianism—Braja Nath De, Superintendent of the Metropolitan Institution—Vidyasagar's dovoted attachment to his mother—Undertakes a perilous journey to obey her word—Powers of versification—Cost-prize essays—Mr. Cost, a civilian. 109–134.
CHAPTER IX .
his first bengali work, the vasudeva charita.
Vidyasagar writes the Vasudeva Charita—Disapproved by the authorities—Brief review of early Bengali Literature 134–157.
CHAPTER X .
first appointment in the sanskrit college.
CHAPTER XI.
The vetala panchavinsati, his First published book:—Re-entrance into the fort william college.
The Vetala Panchavinsati—Rejected by the authorities Vydyasagar refers to the missionaries of Serampore—Approved as a text-book for the Fort William College on the recommendation of Mr. Marshman—Controversy with Jogendra Nath Vidyabhushan—The Sanskrit Press—The works of Bharat Chandra—History of Bengal in Bengali—Vidyasagar re-enters public service as Head Writer of the Fort William College—The Subhakari—Vidyasagar appointed as examiner of Bengali—Drinkwater Bethune—Vidyasagar as examiner of the Junior and Senior Students of the Sanskrit College—The Jibana Charita—Birth of Narayan Chandra, Vidyasagar's only son. 168-179.
CHAPTER XII.
Re-entrance into the Service Of the Sanskrit College.
Vidyasagar resigns his place in the Fort William College—Re-enters the Sanskrit College as Professor of Belles-lettres—Report on the Sanskrit Coilege—Bhudev Mukharji. 180-205.
CHAPTER XIII.
Principal of the Sanskrit College.
CHAPTER XIV.
Principal of the Sanskrit College:— Female Education.
Foundation of the Bethune School—State of female education in this country—Death of Bethune—Vidyasagar's love for the girl-pupils—System of tuition fee introduced into the Sanskrit College—Publication of Sanskrit manuscripts—The Bodhodaya —The Upakramanika Vyakarana —Introduction of the practice of summer vacation by Vidyasagar—Robbery in his house at Birsingha—Conduct of a Police Daroga—Interview with Halliday, the Deputy Governor of Bengal—Entertainment of Harrison by Vidyasagar's mother—The Rijupatha, Part I . The Nitibodha —The Kathamala —The Rijupatha, Part II —The Rijupatha, Part III. — Vyakarana Kaumudi —The study of English made compulsory in the Sanskrit College—Vidyasagar founds at Birsingha a free school, a Charitable Dispensary, a Girl School, and a Night School. 221–241.
CHAPTER XV.
Principal of the Sanskrit College, as well as Special Inspector of Schools.
Vidyasagar's appointment as Special Inspector of Schools—Foundation of the Normal School—Vidyasagar's kindness and charities—His taste for music—His appreciation of merits—Prasanna Kumar Sarvvadhikari—His friction with the principal of the Presidency College—Vidyasagar's forgiveness—His greatness of heart—Affection for friends—Babu Nilambar Mukharji—Introduction of European Mathematics into the Sanskrit College—The Bethune Society—Vidyasagar's discourse on Sanskrit Literature—The Sakuntala in Bengali. 241–259.
CHAPTER XVI.
Re-marriage of hindu widows.
Vidyasagar gets on foot the widow marriage movement —Controversy on the re-marriage of Hindu widows—Opinion of the Bangadarsana —Petition to Government for legislation—The Draft Bill—Extracts from the speeches in the Legislative Council—Re-marriage of Hindu widows legalised by Act XV of 1856—The Act—Petitions against the legislation—First widow marriage—Different versions of it—Desertion of some of his so-called friends—An amusing story. 260–324.
CHAPTER XVII.
Retirement from Public Service.
The Varnaparichaya —Pyari Charan Sarkar—The Charitavali —The foundation of the Calcutta University—Vidyasagar appointed as examiner of Sanskrit, Bengali, Hindi and Uriya—The Central Committee—The office of the Director of Public Instruction newly created—W. G. Young, as first Director—Vidyasagar's intimate familiarity with the Lieutenant-Governor—His friction with the New Director—Change of educational policy—Vidyasagar communicates to the Lieutenant-Governor his intention to retire—Halliday persuades him not to take that step—Fresh collision with the Director—Vidyasagar submits his resignation letter—A few letters—Acceptance of his resignation by Government—Retirement from Public Service—The Hon'ble C. E. Buckland's opinion. 324–352.
CHAPTER XVIII.
The Sanskrit Press Depository.
CHAPTER XIX.
The Hindu Patriot.
Establishment of an Anglo-Sanskrit School at Kandi—Haris Chandra Mukharji dies—Krishto Das Pal appointed Editor of the Hindu Patriot—The Soma-Prakasa —Maharaja Mahatap Chand Bahadur of Burdwan—A brief review of Bengali News Papers—The Sitar Vana-Vasa —Vidyasagar's strength of mind and body—Raja Isvar Chandra Sinha of Paikpara, Vidyasagar's magnanimity of heart— Vyakarana Kaumudi Part IV. 367–381.
CHAPTER XX.
Michael M. Datta.
Michael goes out to England—Communicates to Vidyasagar from France his difficulties—Vidyasagar helps him with liberal remittances—Michael becomes a Barrister-at-law—His Chaturdasapadi Kavitabali —Michael returns to Calcutta—Vidyasagar's debts on Michael's account—Compelled to dispose of two-thirds of the Sanskrit Press to pay off those debts—Michael's heavy debts—Michael's extravagance. 382–399.
CHAPTER XXI.
The Ward's Institution.
CHAPTER XXII.
The Metropolitan Institution.
Early history of the Institution—First application for affiliation—The application rejected—Second application—Vidyasagar's letter—E. C. Bayley—The Institution affiliated up to the F. A. Standard—Brilliant results at the first examination—Affiliated as a first grade college—Results of the B. A. and M. A. examinations—Vidyasagar's policy of the management of educational Institutions—The Hon'ble C. E. Buckland's opinion—The Akhyanamanjari, Part I. 430–459.
CHAPTER XXIII.
The Bethune School.
Lord and Lady Lawrence present at the prize distribution meeting—Miss Mary Carpenter—Vidyasagar accompanies her to Uttarpara—Is injured by a fall from his vehicle—Female Normal School—Interchange of letters with Sir William Grey on the subject—Vidyasagar's views—He resigns his office as Secretary of the Bethune School—Miss Pigott, Lady Superintendent of the Bethune School—Vidyasagar's father retires from the world—Portrait of his father and mother. 459–473.
CHAPTER XXIV.
the great famine.
CHAPTER XXV.
Disasters and troubles.
Sambhu Nath Pandit's death—Raja Radha Kanta Dev's demise—Marriage of Vidyasagar's eldest daughter—Ramgopal Ghosh's death—The Hon'ble C. E. Buckland's opinion of him—The scheme of removing the cremation ghat from Nimtala.—Death of Saradaprasad Ray, Zemindar of Chakdighi—Vidyasagar's aid to the Ghatal School—Death of Rani Katyayani of Paikpara—The Akhyanamanjari Parts II. and III. —Death of Ray Hara Chandra Ghosh Bahadur—Dinabandhu's claim to a share of the Sanskrit Press and the Depository—The case decided against him—Dinabahdhu made a Deputy Magistrate—Vidyasagar favourably disposed to Homoeopathy Dr. Berigni—Doctor Rajendra Nath Datta—Dr. Mahendra Lal Sarkar—Vidyasagar's library—Dishonesty of a so-called friend—Vidyasagar's visit to Burdwan—Pyari Chand Mitra—Vidyasagar's debts from the Cossimbazar Raj Estate—A letter to Rajib Lochan Ray—A letter to Maharani Svarnamayi—Persecutions—Statements of the case. 490–516
CHAPTER XXVI.
Labour of love in Burdwan.
Outbreak of Malarial Fever in Burdwan—Vidyasagar Interviews Sir William Grey on the subject—Opens a charitable dispensary at Burdwan—The Bhranti Vilasa —The Ramer Rajyabhisehka —Tek Chand Thakur—Bankim Chandra Chatarji—Kaii Prasanna Ghosh 516–526.
CHAPTER XXVII.
Desertion of ancestral home.
CHAPTER XXVIII.
Loss of mother.
Vidyasagar's mother sets out on pilgrimage—Joins her husband at Benares—Returns to Birsingba—Goes again to Benares where she dies—Vidyasagar's grief and mourning—Vidyasagar's father falls ill—Vidyasagar goes to Benares—His religious views—The Hindu Wills Act—Vidyasagar's opinion—Death of Maharaja Satis Chandra Ray Bahadur of Nadia—Vidyasagar retracts his word of pledge Maharaja Kshitis Chaudra Ray Bahadur of Nadia Sanskrit publications—English publications—Vidyasagar's appreciation of merits—Keshub Chnnder Sen—A letter to Raj Narayan Bose—The saintly Ram Krishna Paramahansa 539–554
CHAPTER XXIX.
First petition against Polygamy—Second petition—A deputation waits upou Sir Cecil Beadon—The Lieutenant Governor's reply—The Hindu Patriot's views—The Hon'ble C. E. Buckland on the subject—Vidyasagar's paper against Polygamy—Controversy 554–571
CHAPTER XXX.
Disasters again.
Marriage of Vidyasagar's second daughter—Estrangement of his only son—The Hindu Family Annuity Fund—Vidyasagar severes his connection with the Fund—Mahamahopadhyay Rakhal Das Nyayratna—Vidyasagar's eldest daughter becomes a widow—His sympathy for her—His affection for her children—Syampukur Branch Metropolitan School opened 551–585.
CHAPTER XXXI.
The shoe question.
Vidyasagar goes to visit the Library of the Asiatic Society—Is prevented to enter the rooms with his native shoes on—Writes a letter to the Secretary to the Trustees of the Indian Museum—The Englishman on the subject—The Hindoo Patriot on the subject. 585–591
CHAPTER XXXII.
Loss of father.
Difference with Sir George Campbell—The Hon'ble C. E. Buckland on Campbell—Interchange of letters with the Bengal Government with respect to the Sanskrit College—Vidyasagar's letter to the Hindu Patriot—Exclusion by Government of Vidyasagar's books from the list of Textbooks—Appointment of Mahamahopadhyay Pandit Mahes Chandra Nyayratna as a professor in the Sanskrit College—Mr. Cowel, the Principal of the Sanskrit College Vidyasagar retires into private life—Erects a country-seat at Karmatar—Mahamahopadhyay Nilmanl Nyayalankar—Love for the savage Santhals—Death of the Hon'ble Dwarka Nath Mitter—The Englishman's obituary notice. A fallen woman's case—Jay Krishna Mukharji—Marriage of Vidyasagar's third daughter—Pyari Charan Sarkar's death—The Bengal Temperance Society—Death of Vidyasagar's father, His character 591–637.
CHAPTER XXXIII.
Loss of consort.
Construction of Vidyasagar's house—Marriage of his fourth daughter—Construction of the Metropolitan College Building—Opening of Branch Metropolitan Schools—Vidyasagar honoured by Government with the title C. I. E.—Exclusion of the Rijupatha, Part III from the University Course—Vidyasagar's visit to Cawnpore—Sale of the Sanskrit Press—Income from his publications—Liquidation of Government debt—Settlement of the dispute of the Tagore brothers—Severance of his connection with the Sanskrit Press Depository—Translation of the Rig-Veda by Mr. Romesh Chandra Dutt—Death of Vidyasagar's wife— Narayan Chandra's letters—Dismissal of his son-in-law, Suryyakumar Adhikari—The Hon'ble Dr. Guru Das Banarjl—Establishment of the Birsingha Bhagavati School 627–648.
CHAPTER XXXIV.
The age of Consent Bill.
Death of Ray Dinabandhu Mitra Bahadur—Vidyasagar's health impaired—His sojourn at Chandernagore—Charities there—An incident The Age of Consent Bill—Return to Calcutta Vidyasagar's views on the Bill—The policy of Government—A letter of congratulation on Durga Mohan Das's widow marriage. 648–655.
CHAPTER XXXV.
Departure From the world.
Vidyasagar returns to Chandernagore—His illness takes a serious turn—Comes back to Calcutta—Gives up opium—Is placed under the treatment of Dr. Salzer—Golap Chandra Sastrl—Vidyasagar's condition becomes critical—His uncommon fortitude—Vidyasagar breathes his last—Lamentations. 655–662.
CHAPTER XXXVI.
Termination.
The funeral procession—Immense gathering—Cremation—Opinions of the Press—Mourning—Memorial meetings—Memorials. 963 –671.
This work was published before January 1, 1929, and is in the public domain worldwide because the author died at least 100 years ago.
Public domain Public domain false false
- Pages using center block with width parameter
IMAGES